পাঁজরে ঘূণ
পাঁজরে ঘূণ
বেঁচে থাকার পথ হয়েছে বন্ধ
দুচোখ থাকতেও হয়েছি অন্ধ ,
অনিশ্চয়তা-অবহেলায় জীবন নষ্ট
প্রতিনিয়ত শুধুই বাড়ন্ত কষ্ট ,
ভালোভাবে বেঁচে থাকাই দায় ।
বক্ষ পাঁজরে ধরেছে ঘূণ
শান্তির বাণী হয়েছে খুন ,
গরীবের ঘরে অশ্রু চাষ
মেলেনা দুমুঠো মুখের গ্রাস ,
ক্রমে ক্রমে আঁখিজল শুকিয়ে যায় ।
রাতপরীদের জন্ম রোজ
অভাবের তাড়নায় অর্থের খোঁজ ,
পরণের বস্ত্র খুলছে আজ
মাথায় পরিবারের ক্ষুধার রাজ ,
তাই লজ্জাশরম হয় বিদায় ।
মখমলের শয্যায় ধনী ঘুমিয়ে পড়ে
পথ শিশুরা কেঁদে মরে ,
আঁধার ঘরে জ্বলে না আলো
মনে তবু আশা, হবেই ভালো ,
ভগবান যদি মুখ তুলে চায় ।
অন্ধ আবেগে ভাসছি মোরা
প্রতিশ্রুতি শুধুই রয়েছে অধরা ,
আঁধার গৃহ অন্ধকারময়
দিকে দিকে শুধু ভয় আর ভয় ,
প্রাণোচ্ছল হাসি কোথা গেল হায় !
মানুষ কবে হাসবে জানি না
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করি না ,
আর কতোদিন এভাবে চলবে
সাধারণের কথা কেইবা শুনবে ,
কেইবা করবে ন্যায় ?
সত্যিই মোদের পাঁজরে ধরেছে ঘূণ
শুনতে পাই না মোরা সাম্যের ধুন ,
স্বার্থ নিয়ে চলছি সবাই
সময়ের হাতে হচ্ছি জবাই ,
ক্লান্ত পৃথিবী নীরব দাঁড়িয়ে রয় ।