নদী
নদী
লাল মাটির দেশে যে নদীটা
উচ্ছ্বল তরুণীর মতো গিয়েছিল এঁকেবেঁকে,
যে নদীতে ঝরে পড়া রক্তিম লাল পলাশ কৃষ্ণচূড়ারা
জলের সাথে করতো জলকেলি,
যে নদীতে তুমি বাইতে তরী
সেই নদীর কল্লোল তোলা
স্নিগ্ধ স্বচ্ছ শীতল মিষ্টি জল আমি।
সারাদিন বয়ে চলি,
নেচে চলি নদীর বক্ষে।
কোন বাঁধাই মানি না আমি-
বয়ে চলি সব বাঁধা করি অতিক্রম।
যেখানেই বাঁধা পাই,
বদলে নিই আমার চলার পথ,
সাথে নিয়ে চলি সহস্র নুড়ি পাথর।
জলের হিল্লোলে ঠোকাঠুকি লেগে
বইতে বইতে নুড়ি পাথর
পরিণত হয় স্বর্ণালী বালুকায়,
লক্ষ মীন খেলে বেড়ায় আমার সাথে।
সকালের প্রভাত রবি তার কোমল কিরণ ছড়িয়ে
যেন গোলাপের মত
প্রস্ফুটিত হয় আমার বক্ষ হতে,
মধ্যগগনের রবির কিরণে আমি
টগবগে তরুণের মত উষ্ণ ঝলমলে।
গোধূলির অস্তরাগ
রাঙিয়ে দিয়ে যায় আমায়।
তাও আমি একই ভাবে বয়ে যাই
পূর্ণিমা বা অমাবশ্যার রাতে।
তাও আমি একই ভাবে বয়ে যাই
গ্রীষ্ম-বর্ষা কিংবা সব ঋতুতে।