জীবনের করুনা
জীবনের করুনা
আঙিনাতে গম ছড়ানো, খাচ্ছে একটি পাখি
বাদামি রঙের ঠোঁট জোড়া তার,নীল বর্ণের আঁখি।
খাচ্ছিলো সে মনের সুখে, উঠলো দমকা বাতাস
গম খাওয়া তার পন্ড হলো, মনের দুখে হতাশ।
রোজ বিকেলে আঙিনাতে গম ছড়িয়ে রাখি
মনের সুখে আহার করে ছোট্টো সেই পাখি ৷
গমের সাথে জলও রাখি খায় সে তৃপ্তি করে
মনের সুখে চেয়ে থাকি আর দেখি দুচোখ ভরে ।
খাওয়ার শেষে নিজের বাসায় উড়ে যায় সেই পাখি
আবার কখন বিকেল হবে অপেক্ষাতে থাকি।
এক বিকেলে পাখিটি ছিলোনা আঙিনায়,
আশা ছিল, আসবে ফিরে কোনো নতুন বাহানায়।
উঠলো মনটা দুঃখে ভরে
পাখিটির নিস্প্রান দেহ রাস্
তায় রয়েছে পরে।
বাড়ির পাশে বসেছে টাওয়ার, এসব বিজ্ঞানের দান
অতিউন্নত প্রযুক্তি গ্রাস করে নিলো পাখিটির প্রাণ।
"প্রকৃতি তার সৌন্দর্য পাখিটিকে করেছিল দান
উন্নতশীল হচ্ছে মানুষ,গ্রাস করছে পাখিদের প্রাণ"।
যদি অসংখ্য পাখির মৃত্যু ঘটে, প্রকৃতির ক্ষতি হয় তাহলে চাইনা 5g পরিষেবা, আমি পুরানোতেই সুখী তাতে হয়তো রক্ষা পাবে পাখিদের প্রাণ, বাঁচবে প্রকৃতি।
আজকে হয়তো সবাই 5g পরিষেবা উপভোগ করছে, ভাবছে না তারা ভবিষ্যৎ , হয়তো একটু এগিয়ে ভাবলে দেখতে পেতো জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং বাঁচার জন্য হাহাকার করতে হচ্ছে ।
সেদিনটি আর বেশি দেরি নেই।।