অসুখ
অসুখ
অসুখ! কত বাজে তুমি!!
কেন তুমি বার বার আসো ফিরে?
কেন তুমি বাসা বাঁধো মানব শরীরে?
কেউ চায় না তোমায়
কেউ বাসে না ভালো,
তাও নির্লজ্জ-বেহায়া তুমি
আসো অনাহূত অতিথিসম।
কখনো তোমার উপস্থিতি জানান দিয়ে-
বাধ্য ছেলের মতো
স্বল্প সময়ে তুমি যাও চলে,
কখনো বা মানব শরীরে
দীর্ঘদিন করো বাস-
দেও অপরিসীম জ্বালা-যন্ত্রণা!
কখনো বা ডেকে আনো মরণ যাতনা!
কোন পরিবার কে করে দেও
সন্তানহারা-স্বামীহারা-
কোন সন্তানের কেড়ে নেও মাথার ছাতা
বাবা-মায়ের ছত্রছায়া।
নির্মম-নিঠুর-পাষাণ তুমি!
কখনো আসো মারণ রোগ
রূপে-
কখনো বা মানুষকে করে দাও পঙ্গু।
তোমার প্রতিরোধে হচ্ছে
কত শত পরিকল্পনা,
শত-সহস্র বিজ্ঞানী করে চলেছেন
অক্লান্ত পরিশ্রম-নিরলস গবেষণা!
নিত্য নতুন আবিষ্কার করছেন-
নানা রোগ নিরাময় ওষুধ-
প্রচেষ্টা চলছে যাতে ভালো হয়ে যায়
দুরারোগ্য সব অসুখ।
জীবনের যত শোক-দুঃখ
সব আজ তোমাকে ঘিরে,
রোগ-ব্যাধিতে জর্জরিত সব
নয়ন ভরেছে অশ্রু নীরে।
তুমি মানো না কোন বিধিনিষেধ-
মানো না কোন বারণ,
লক্ষ লক্ষ মানুষের তুমি
চোখের জলের কারণ।
তুমি বড়ই অবোধ-বড়ই অবুঝ
বড়ই জেদি-বড়ই নিঠুর-
কদর্য বিভিষিকাময়
বিষম তোমার রুদ্র রূপ।
তোমার নিরাময়ে কত পরিবার
হয়ে যায় যে নিঃস্ব!
কত লোক যে চিকিৎসা করতে
হয়ে যায় সর্বশান্ত!!
অসুখ তুমি যাও ভেসে
মহাশূন্যে-নীল গগনে,
অসুখ তুমি যাও তলিয়ে
সাগর জলের অতল তলে।
আকাশ-বাতাস-ধরিত্রী হোক রোগ মুক্ত-
দুঃস্বপ্নের মতো যাও তুমি চলে,
পৃথিবী হোক রোগ-শোক-
জরা-ব্যাধির কষ্ট থেকে শাপমুক্ত।
বিদায় দেবো তোমায় মহা সমারোহে
মাতবে ভুবন খুশির জোয়ারে,
ফুটবে হাসি সবার মুখে
জীবন ভরে যাবে পরম সুখে।